নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের মো. শাহাদাত হোসেন (২৫) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় একটি আত্মহত্যা মামলা হয়েছে মামলা নং ৫, তাং ১৪/৩/২০২৫। আত্মহননকারী শাহাদাতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (১৪ মার্চ) মাগরিব বাদ যোগীপোল সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন ফুলবাড়িগেট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স কাসেম স্টোরের মালিক মো. আবুল কাশেমের সেজ ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে শাহাদাত হোসেন তার নিজ শয়ন কক্ষে ঘরের আড়ার সাথে লাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সেহরি খাওয়ার জন্য বড় ভাই আল মামুন ডাকাডাকি করতে থাকলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার উপরের অংশ খুলে ঘরে প্রবেশ করে আড়ার সাথে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো শাহাদাতকে দেখতে পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে কুয়েট মেইন গেট সংলগ্ন গ্রিন বাবুর ক্লিনিকে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানার এস আই মো. মিকাইল হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে।
খুলনা গেজেটকে তিনি বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর সময় তার গলায় রশির দাগ ছাড়া অন্য কোন ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আত্মহননকারী শাহাদাত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র মেইন গেটের সামনে রোড নং ১, কুয়েট রোডের মাস্টার মঞ্জিলের ৬৬ নং হোল্ডিংয়ের বাড়িতে বড় ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। খুবই ভদ্র এবং বিনয়ী স্বভাবের ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কোরআনে হাফেজ ছিল। বাড়ির বাইরে খুব বেশি ঘোরাফেরা করত না। মাঝেমধ্যে তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফুলবাড়িগেট মেসার্স কাশেম স্টোরে বসতেন। ২০১৫ সালে তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে সে।
খুলনা গেজেট/এএজে